ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে পটুয়াখালী-৪ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রাজনীতিতে দেখা দিয়েছে অভ্যন্তরীণ প্রবল অস্থিরতা। হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থীর আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে কলাপাড়া উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন পর্যায়ের শতাধিক নেতাকর্মী একযোগে গণপদত্যাগ করেছেন। স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে যা ‘পূর্ণ মাত্রার ভূমিকম্প’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
উপজেলা সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে পদত্যাগ করেন—
সহ-সভাপতি অ্যাড. এজেড এম কাওসার,
অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাওলানা আবু ইউসুফ আশরাফী,
সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আসাদুজ্জামান ইউসুফ,
সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম মনিরুল ইসলাম,
পৌর যৌথ সম্পাদক জাফর খান,
ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সভাপতি মুফতি ওসমান গনি,
উপদেষ্টা সানু হাওলাদার,
পৌর উপদেষ্টা মাওলানা আবদুস সোবাহান,
শ্রমিক আন্দোলনের জয়েন্ট সেক্রেটারি জহিরুল ইসলাম,
ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সম্পাদক ইয়াকুব তাশরেফী
সহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের শতাধিক নেতৃত্বস্থানীয় কর্মী।
গণমাধ্যমকে মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন—
“পটুয়াখালী-৪ আসনে হাতপাখা প্রতীকের মনোনীত প্রার্থীর অসাংগঠনিক আচরণে ত্যাগী নেতাকর্মীদের মাঝে প্রচণ্ড বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বিএনপি থেকে যোগ দিয়ে দলে এসে জনপ্রিয়তার অহংকারে নেতাকর্মীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করছেন।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন—
“সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান দলের সিনিয়র নেতাদের হেয় প্রতিপন্ন করছেন, কাউকে মূল্যায়ন করছেন না। তার আত্ম–অহমিকামূলক আচরণের কারণে আগামী কয়েকদিনে কলাপাড়া, রাঙ্গাবালী, মহিপুরসহ বিভিন্ন অঞ্চলে আরও গণপদত্যাগ হবে।”
সহ-সভাপতি অ্যাড. এজেড এম কাওসার ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আসাদুজ্জামান ইউসুফ বলেন—
“হাতপাখার মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের চাপা ক্ষোভের বাস্তব বহিঃপ্রকাশই এই গণপদত্যাগ। দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতাকর্মীদের সম্মান না দিয়ে প্রার্থী একক আধিপত্য কায়েমের চেষ্টা করছেন।”
নেতৃত্ব সংকটের জেরে পটুয়াখালী-৪ আসনে ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা প্রতীক নিয়ে গভীর ভরাডুবির আশঙ্কা প্রকাশ করছেন স্থানীয় বিশ্লেষকরা। নির্বাচনের আগে এমন গণপদত্যাগকে স্থানীয় রাজনীতিতে ‘অভূতপূর্ব সংকট’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।