পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের ইটবাড়িয়া গ্রামে পায়রা বন্দরের সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের কারণে উচ্ছেদের মুখে থাকা ১৩৬টি পরিবারের পুনর্বাসনের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৫ নভেম্বর ২০২৫) সকাল ১১টায় কলাপাড়া প্রেসক্লাব চত্বরে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, বহু বছর ধরে বসবাস করলেও পূর্ণাঙ্গ পুনর্বাসন পরিকল্পনা ছাড়া উচ্ছেদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কিছু কর্মী ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘর ছাড়তে চাপ প্রয়োগ করছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
জিয়া কলোনীর ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য লাইলি, রুমা, কবির হোসেন, জসিম, সালেহা, আল আমিন, ফোরকান ও ইব্রাহিম বলেন,
“১৩৬টি পরিবারকে মাথা গোঁজার ঠাঁই ছাড়া উচ্ছেদ করা হলে আমরা অনিশ্চিত জীবনের দিকে ঠেলে দেওয়া হব। উচ্ছেদের আগে পুনর্বাসন নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব।”
বক্তারা আরও বলেন, প্রশাসনে কর্মকর্তারা বদলি হলেও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের দুর্দশা একই রয়ে গেছে। ছয় মাস আগে পুনর্বাসন পাওয়া ২২টি পরিবারকেও বিদ্যুৎ, পানি, স্যানিটেশনসহ মৌলিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে। ফলে ওই পুনর্বাসন কেন্দ্রগুলো বসবাসের অনুপযোগী হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তারা অভিযোগ করেন, কাগজে-কলমে পুনর্বাসনের কথা থাকলেও বাস্তবে কেন্দ্রে ন্যূনতম অবকাঠামো না থাকায় বহু পরিবার সেখানে যেতে অস্বস্তি বোধ করছে।
মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন—
কলাপাড়া পরিবেশ ও জীবন সুরক্ষা মঞ্চের সদস্য সচিব মনোয়ারা বেগম, কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি নেছার উদ্দিন আহমেদ টিপু,কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অমল মুখার্জি ও পরিবেশ কর্মী মো. নজরুল ইসলাম।
তারা বলেন, দেশের উন্নয়ন প্রকল্পে সাধারণ মানুষের স্বার্থ উপেক্ষা করা যাবে না। পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদের উদ্যোগ মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল।
বক্তারা অবিলম্বে উপযুক্ত পুনর্বাসন, ন্যায্য ক্ষতিপূরণ এবং পুনর্বাসন এলাকার মৌলিক সুবিধা নিশ্চিত করার দাবি জানান।
এলাকাবাসীরা সতর্ক করে বলেন, সঠিক পুনর্বাসন নিশ্চিত না করে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করা হলে তারা আরও কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন।