বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক ও পটুয়াখালী–৪ (কলাপাড়া–রাঙ্গাবালী) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী আলহাজ্ব এবিএম মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বিগত আওয়ামী লীগ ‘ফ্যাসিস্ট সরকার’ দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে। নতুন প্রজন্মের অনেকেই ভোট কী, তা পর্যন্ত জানে না। রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরে দুর্নীতি, গুম–খুন ও সন্ত্রাসের রাজত্ব চালিয়ে দেশকে অচল করে দেওয়া হয়েছে।
রবিবার লালুয়া ইউনিয়নের বানাতী বাজার মাঠে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল লালুয়া ইউনিয়ন শাখার দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “ছাত্রজনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। কিন্তু আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া শত মামলা ও নির্যাতনের পরও দেশ ত্যাগ করেননি। দলীয় কর্মকাণ্ডে সবসময় আমাদের সাহস ও অনুপ্রেরণা দিয়েছেন।”
তারেক রহমানের পরিকল্পনা উল্লেখ করে মোশাররফ হোসেন বলেন—
বয়স্কদের জন্য ফ্যামিলি কার্ড চালু করা হবে।
শিক্ষিত বেকার ও ছাত্র–ছাত্রীদের জন্য এক বছরের বেকার ভাতা দেওয়া হবে।
পায়রা বন্দরের অধিগ্রহণে লালুয়া ইউনিয়নের বহু পরিবার ভিটেমাটি হারিয়েও এখনো ক্ষতিপূরণ পায়নি; এলও অফিসের দালালদের কারণে অনেকেই হয়রানির শিকার। তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন।
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে এখন সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক শক্তি বিএনপি। আগামী নির্বাচনে বিজয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। কারও মিথ্যা প্ররোচনায় বিভ্রান্ত হবেন না। আপনার পবিত্র ভোটটি ধানের শীষে দিন।”
মোশাররফ হোসেন প্রতিশ্রুতি দেন, নির্বাচিত হলে কলাপাড়ার মেগা প্রকল্পগুলোর শতভাগ উন্নয়নকাজ সম্পন্ন করবেন।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন লালুয়া ইউনিয়ন মহিলা দলের আহ্বায়ক সাবেরা আক্তার কনিকা এবং সঞ্চালনা করেন পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুসা তাওহীদ নান্নু মুন্সি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন—
হাজী হুমায়ুন শিকদার, হাফিজুর রহমান চুন্নু, মনিরুজ্জামান মনির, নুরুল হক মুন্সি, অ্যাডভোকেট খন্দকার নাসির উদ্দিন, গাজী মো. ফারুক, কামরুজ্জামান কাজল তালুকদার, ছালমা আক্তার লিলি, নার্গিস আক্তার, ডা. আলমগীর হোসেন, আ. খালেক তালুকদার, সজল বিশ্বাস প্রমুখ।
সম্মেলন চলাকালে লালুয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ২১ জন নেতা–কর্মী বিএনপিতে যোগ দেন।