পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সরকারি জমি জালিয়াতী করে রেকর্ড করার অভিযোগে মো. আলমগীর হাওলাদার নামে একজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে উপজেলা সহাকরী কমিশনার (ভূমি) মো. ইয়াছিন ছাদেক। এ বিষয়ে মহিপুর ইউনিয়ন ভ‚মি কর্মকর্তা মো. গোলাম মোস্তফা বাদি হয়ে কলাপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২০ সালের ১ অক্টোবর সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন-২ প্রকল্প এর ০৩.০২.০০০০.৭০২.১৪.৬৬৭.১৩১২২২ স্মারক মুজিব বর্ষের ঘরের জন্য দুই শতক জমি বন্দোবস্ত দেয়ার বিধান রয়েছে। সে অনুযায়ী দেশব্যাপী ভ‚মিহীনদের দুই শতাংশ করে জমি বন্দোবস্ত দেয় তৎকালিন সরকার। কিন্তু কুয়াকাটা পৌরবাসিন্দা মো. আলমগীর হাওলাদার প্রতারণামূলভাবে বৃহস্পতিবার সকালে কলাপাড়া ভূমি অফিসের ২৮খে/১৯৮৭-৮৮ বন্দোবস্ত অনুযায়ী খতিয়ানভ‚ক্ত করতে উপজেলা ভ‚মি অফিসে প্রতারণামূলক ২২১৬/২০২৫-২৬ নং নামজারি মামলা করেন আলমগীর। সেখানে ৫৭ নং জেএল এর কুয়াকাটা মৌজার ১ নং খতিয়ানের ২১০৪, ২১০৫ ও ২১১১ নং দাগ থেকে দুই শতাংশের স্থলে দুই একর জমি রেকর্ড করার কথা উল্লেখ করেন। বিষয়টি সন্দেহ জনক হওয়ায় কলাপাড়া উপজেলা ভ‚মি অফিসের বন্দোবস্ত রেজিষ্টার-১২ যাচাই ও পর্যালোচনা করেন সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) মো. ইয়াছিন ছাদেক। এতে আলমগীর হাওলাদারের আবেদনের বিষয়টি জালিয়াতি হিসাবে চিহ্নিত হয়। পড়ে কলাপাড়া থানায় স্থানীয় মহিপুর ইউনিয়ন ভ‚মি সহকারী কর্মকর্তা মো. গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে কলাপাড়া থানায় একটি এজাহার দাখিল করেন। কলাপাড়া থানা এজাহারটি নিয়মিত মামলা হিসাবে রুজু করেন। এর আগে গত ২০২২ সালের ১০ জুলাই দুদকের জেলা সমন্মিত জেলা কার্যালয় কর্তৃক আলমগীরের দাবিকৃত দলিল জব্দ করেন। এছাড়া কলাপাড়া সহকারী জজ আদালতে আলমগীর এর নামে ৬৯২/২০২২ মামলায় ৩ নং বিবাদী করে জাল দলিল সৃজন করে সরকারি জমি আত্মসাতের পায়তারা করার বিষয়ে মামলা চলমান আছে। আলমগীর কুয়াকাটা পৌরএলাকার ৬ নং ওয়ার্ডের মৃত আবদুল খালেক হাওরাদার এর পুত্র। এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) মো. ইয়াছিন ছাদেক জানান, আলমগীর হাওলাদার নামজারি করার জন্য একটি নামজারি বন্দোবস্ত কেসের আবেদন করেন। আবেদন সংশ্লিষ্ট দলিলটি আমার কাছে সন্দেজনক মনে হয়। পরে আমি সাবরেজিষ্ট্রি অফিসে যাচাই করি। তাছাড়া সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় ভ‚মিহীনদের জন্য দুই শতাংশের বেশি বন্দোবস্ত দেওয়ার বিধান ছিল না। তাছাড়া ইতোমধ্যে দুদক কর্তৃক জালিয়াতী দলিল জব্দ করা আছে।