1. tjjoyr@gmail.com : Tanjil Jaman Joy : Tanjil Jaman Joy
  2. necharlenovo@gmail.com : Nechar :
শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৩২ পূর্বাহ্ন
‌ সর্বশেষ :
কলাপাড়ায় ইসলামী আন্দোলনে ‘পূর্ণ মাত্রার ভূমিকম্প’ — নেতৃত্ব সংকটে গণপদত্যাগে টালমাটাল মাঠপর্যায় কলাপাড়ায় নবীন নাবিকদের শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত কলাপাড়ায় তারুণ্যের ভলিবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন ফ্যাসিস্ট সরকার নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে: এবিএম মোশাররফ হোসেন ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ৯০ হাজার ছাড়াল, আরও ৮ জনের মৃত্যু সশস্ত্র বাহিনী দিবসে শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা মহিপুরে যৌথ চেকপোস্ট অভিযানে ইয়াবাসহ মাদক কারবারি আটক সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল দক্ষিণে গ্যাস দেবেন না: বিশ্বব্যাপী কর্ম দিবসে কলাপাড়ায় নৌবহর কর্মসূচি কুয়াকাটায় অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন: ইমরান গাজীর ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

শিক্ষকের অর্থলোভে পরীক্ষার সুযোগ হারালো দরিদ্র শিক্ষার্থী সোহান

ডেস্ক নিউজ
  • প্রকাশিত সময় : শুক্রবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৫
  • ৮৯ জন দেখেছেন
0-0x0-0-0#

ধানখালী ইউনিয়নের মরিচবুনিয়া গ্রামের হতদরিদ্র পিতা আনোয়ার হাওলাদারের ছেলে সোহান। ভোকেশনাল (নবম শ্রেণি) বোর্ড পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য গত দুই মাস যাবৎ প্রস্তুতি নিচ্ছিল সে। বৃহস্পতিবার সকালে সহপাঠীদের সঙ্গে উপজেলার সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিতে আসে সে। কিন্তু কেন্দ্রে পৌঁছে জানতে পারে, তার প্রবেশপত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পাদনই করেননি বিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক হাসান।

 

শিক্ষার্থীর পরিবারের অভিযোগ, পাচজুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল শাখার দায়িত্বে থাকা শিক্ষক মো. হাসান রেজিস্ট্রেশনের সময় সোহানের কাছ থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা নেন। এরপর পরীক্ষার আগে অতিরিক্ত ১০ হাজার টাকা দাবি করেন তিনি। টাকা না দেওয়ায় পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন সোহান। ফলে কেন্দ্রের বাইরে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর কান্নায় ভেঙে পড়ে সে।

 

সোহানের চাচা মো. ওমর ফারুক জানান, “রেজিস্ট্রেশন ফি দেওয়ার পরও অতিরিক্ত দশ হাজার টাকা চেয়ে বসেন শিক্ষক হাসান। টাকা না দেওয়ায় আমার ভাতিজার এক বছর নষ্ট করে দিলেন তিনি।”

 

সংবাদকর্মীদের অনুসন্ধানে জানা যায়, ওই শিক্ষক দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে ধানখালী পাচজুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল শাখার সব কার্যক্রম নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন। বিদ্যালয়ের রেজুলেশন বই, শিক্ষার্থী আইডি-পাসওয়ার্ডসহ সব প্রশাসনিক নথিও তার হাতে রয়েছে। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক কুতুবউদ্দিন বলেন,

 

> “আমি বিদ্যালয়ে যোগদানের পর বিষয়টি জানতে চাইলে হাসান আমাকে হুমকি দেন। ইউএনও স্যার ও শিক্ষা বোর্ড কর্মকর্তারাও বিষয়টি জানেন। কিন্তু রেজুলেশন বই ফেরত দেয়নি হাসান।”

অভিযুক্ত শিক্ষক হাসান বর্তমানে আমতলী উপজেলার টেপুরা আহম্মাদিয়া দাখিল মাদ্রাসায় সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত। তিনি বলেন,

> “একটা পরীক্ষা গেছে, সমস্যা নাই—আগামী বছর দেবে। ওই প্রতিষ্ঠান আমার টাকায় করেছি, তাই আমি চালাই।”

এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মো. মনিরুজ্জামান খান বলেন,

> “পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত থেকে ঘটনাটি জেনেছি। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। ইউএনও স্যার বিষয়টি অবগত হয়েছেন। দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

স্থানীয়দের অভিযোগ, বছরের পর বছর ভোকেশনাল কার্যক্রমের নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় ও জালিয়াতির ঘটনা ঘটলেও কর্তৃপক্ষ কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে দরিদ্র পরিবারগুলোর সন্তানরা প্রতিনিয়ত বঞ্চনার শিকার হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির অন্যান্য সংবাদ
© 2025, All rights reserved | Daily Bangladesh
Developed by ItNex BD