আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এক সুদৃঢ় ঐক্যের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। তৃণমূলের নেতাকর্মী থেকে কেন্দ্রীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী পর্যন্ত সর্বস্তরে ঐক্যের বার্তা পৌঁছে যাওয়ায় স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি হয়েছে। এতে ভূইফোঁড় ও সুযোগসন্ধানী রাজনীতিকরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন বলে অনুসন্ধানে জানা যায়।
বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী এবং দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন সম্প্রতি মাঠে সাংগঠনিক উপস্থিতি বাড়িয়েছেন। জনগণের দুঃসময়ে পাশে থাকা, তৃণমূল কাঠামো পুনর্গঠন এবং তরুণ ভোটারদের সম্পৃক্ত করার ফলে তাঁর প্রতি আস্থা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক উপজেলা বিএনপি আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মনির দলীয় মনোনয়ন না পেলেও ধানের শীষের পক্ষে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। তাঁর এই অবস্থানকে কলাপাড়ার বিএনপিতে ঐক্যের সবচেয়ে দৃশ্যমান উদাহরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অন্যদিকে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের প্রার্থী হিসেবে সদ্য বিএনপি ত্যাগ করা মোস্তাফিজুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন পৃথক রাজনৈতিক শক্তির প্রার্থী মাঠে থাকলেও বিএনপির ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের কারণে তারা রাজনৈতিকভাবে সঙ্কুচিত হয়ে পড়ছেন।
স্থানীয় ভোটারদের মতে, দীর্ঘদিন পরে বিএনপিতে এমন সমন্বিত ও সংগঠিত রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি হওয়ায় নির্বাচনী উত্তাপ বাড়তে শুরু করেছে।
এক তরুণ ভোটার জানান —
“আগে বিএনপির ভেতর দ্বন্দ্ব দেখা যেত। এখন দেখছি সবাই একসাথে। এটা স্থানীয় পর্যায়ে খুবই ইতিবাচক।”
আরেক প্রবীণ ব্যবসায়ীর ভাষ্য —
“জনগণের কষ্টের সময় পাশে কে ছিল, মানুষ তা দেখেছে। যদি বিএনপি এই ঐক্য ধরে রাখতে পারে, তাহলে কলাপাড়ার নির্বাচনে বড় পরিবর্তন আসবে।”
গ্রাম ও শহরের বিভিন্ন ভোটারদের মধ্যে বিএনপির এই ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা ভোটের মাঠে শক্ত অবস্থান তৈরির ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
দলীয় নেতারা বলছেন—
“ধানের শীষের জয় নিশ্চিত করতে সবাই এক সূত্রে বাঁধা। ব্যক্তিকেন্দ্রিক রাজনীতির দিন শেষ।”